Pages

Monday, May 15, 2017

স্বপ্নপুরী পার্ক (Sopno Puri Park) | Beautiful Dinajpur |

বন্ধুরা আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান দিনাজপুরের পার্ক স্বপ্ন পুরী।
 দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে পনের কিলোমিটার উত্তর দিকে কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের অধীন খালিকপুর মৌজায় বিশাল জায়গা জুড়ে স্বপ্নপুরী অবস্থিত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৮৯ খৃষ্টাব্দ থেকে স্বপ্নপুরীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর বর্তমানে স্বপ্নপুরী বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মৎস্য জগৎ অনেক সুন্প্রাদর কৃতিক দৃশ্যবলি এবং রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন বিনোদন সুবিধা নিয়ে পার্কটি গঠিত হয়েছে।তাছাড়া এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে দশটি ভিআইপি রেস্ট হাউজ, চোদ্দটি  মধ্যম শ্রেণীর রেস্ট হাউজ ও আটটি  অন্যান্য রেস্ট হাউজ। মূল গেটে দুটি পরী আকাশের দিকে হাত তুলে আপনাকে স্বাগত জানাবে, যা সত্যিই মনকে আন্দোলিত করে তুলবে।

 













সুবিশাল এলাকা জোরে , তুলনাহীন প্রাকৃতিক  পরিবেশ। সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে আছে বিভিন্ন প্রকার গোলাপ,চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, রজনীগন্ধা, কসমস, লিলি,  গ্লোবাল,  গাদা-সূর্যমুখী সহ ইত্যাদি ফুল। আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ঝাউগাছ, ইপিলইপিল,ওইপেং,  ক্রিসমাসট্রি, ক্যাকটাস,  ঘনসবুজ ঘাসে ঘেরা বাগানের গাছের ডালে বসেছে হাজারো রকম পাখির মেলা, যা হাজারো প্রকৃতি প্রেমিক  পর্যটক ও পরিব্রাজকদের মনোরঞ্জন এবং বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।

শিক্ষামূলক ভ্রমণ স্বপ্নপুরী পর্যটন কেন্দ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভিন্ন মাত্রায় সজ্জিত। যার প্রমাণ স্বপ্নপুরীতে রয়েছে। যেমন শিশু পার্ক, জীবন্ত এবং কৃত্রিম চিড়িয়াখানা সহ অনেক কিছু।
 স্বপ্ন পুরী আছে পর্যটকদের নামাজ পড়ার মসজিদ এবং কারুকার্যময় অজুখানা। আরও আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাস্কর্য। চোখে স্বাপ্নিক বিস্ময়তা আর অন্তরে মুগ্ধতা নিয়ে স্বপ্নপুরীর লেকে স্পিড বোটে জলবিহারে মেতে ওঠার আছে । লেকের ওপরে তৈরি করা হয়েছে কেবল কার। পর্যটকদের গোসল করার জন্য রংতুলি দিয়ে আকার মত শাপলা ঘাট। সুবিশাল স্বপ্নপুরীর স্থানে স্থানে আছে  অনেক সুন্দর সুন্দর বিশ্রাম ছাউনি। এ যেন নিপুণ হাতের পরশে বাগ-বাগিচার সৌন্দর্যে পেয়েছে নতুনরূপ। এসব বাগান মন-মনকে করে তোলে আকাশচারী ও স্বপ্নময়। স্বপ্নপুরীর রাস্তাগুলো একেকটি একেক রকম। একটি রাস্তার দুই পাশে উদ্বাহু হংসমিথুনের দল। আরেকটি রাস্তার দু’পাশে মাছ আকৃতির ফুলের টপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। কৃত্রিম চিড়িয়াখানায় প্রবেশের করার জন্য তৈরি করা হয়েছে চোখ ধাঁধানো রাস্তা। জীবন্ত চিড়িয়াখানায় প্রবেশের প্রধান ফটকটিতে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য, বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখাকৃতির এ ফটক পর্যটকদের শিহরিত করে তুলতে সদা প্রস্তুত।
 সব কিছু  মিলিয়ে বলা যায়, যে কোন পর্যটক যদি একবার স্বপ্নপুরীতে যান তাহলে সত্যিই আপনি স্বপ্নের মাঝে হারিয়ে যাবেন। নিজেকে পশ্ন করবেন, এটা আমি কোন জগতে এসেছি নাকি ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখতেছি।

স্বপ্ন পরিতে প্রবেশ মূল্য বাস-মিনিবাস (যাত্রীসহ) চারশত টাকা। মাইক্রোবাস-পিকআপ (যাত্রীসহ) দুইশত টাকা। কার-জিপ টেক্সিক্যাব যাত্রীসহ একশত টাকা। গাড়ি ছাড়া গেলে জনপ্রতি বিশ টাকা।
স্বপ্নপুরীর বাংলো ভাড়া নীলপরী তিনশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), রজনীগন্ধা চারশত টাকা(প্রতি ডবল রুম), নিশি পদ্ম পনেরশ টাকা (তিন রুমসহ বাংলো), চাঁদনী পাচশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), সন্ধ্যা তারা আকশ থেকে তেরশ টাকা (প্রতি ডবল নন এসি ও এসি রুম) 
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে।
রাজধানী ঢাকা থেকে বুকিং ব্যবস্থাঃ
 ঢাকা থেকেও স্বপ্নপুরীর মোটেল বা বাংলো বুকিংয়ের সুবিধা আছে। ঠিকানা : হোটেলের সফিনা, ১৫২ হাজী ওসমান গনি রোড, আলুবাজার ঢাকা। ফোন : ৯৫৫৪৬৩০-৯৫৬২১৩০।

স্বপ্নপুরীতে রয়েছে খুব কম দামে খাবারের ব্যবস্থা : ভাত, সবজি, ডাল পনের টাকা, ভাত, সবজি, মাছ, ডাল বিষ টাকা ও ভাত, সবজি মুরগি, ডাল ৩০ টাকা।
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে। 
এছাড়াও স্বপ্নপুরীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যটন সুবিধা দিতে একটি আধুনিক হোটেল, চাইনিজ  রেস্টুরেন্ট,  মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্বতন্ত্র স্পট, পাখির রাজ্য, বেলকার, রোপকার, মানবিক চৈতন্যে ভাস্কর্য শিল্প ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনা মোতাবেক, যার নির্মাণ কাজ  শুরু হয়েছে। স্বপ্নপুরী ভ্রমণে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ।  




  স্বপ্নপুরী ভ্রমণে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ।   :)  :)

No comments:

Post a Comment